নানা আয়োজনে জিল্লুর রহমানকে স্মরণ

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ রোববার। নানা আয়োজনে তাঁর জন্মস্থান ভৈরবে দিনটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগ কালো ব্যাজ ধারণ, প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, তাবারক বিতরণ ও স্মরণসভার আয়োজন করে। এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বেলা ১১টায় জিল্লুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মো. সায়দুল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক সামসুজ্জামান বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম বাকী বিল্লাহ প্রমুখ অংশ নেন।
এ ছাড়া বিকেলে স্থানীয় জিল্লুর রহমান পৌর মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় কিশোরগঞ্জ জেলা সদরসহ ১৩টি উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। পাশাপাশি বাদ এশা ভৈরব প্রেসক্লাবের আয়োজনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের সম্ভান্ত মুসলিম পরিবার বলাকী মোল্লার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন জিল্লুর রহমান। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। সে সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ছিলেন। দেশের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম ও ক্রান্তিলগ্নে তাঁর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। দলমত নির্বিশেষে তিনি সবার কাছে সমভাবে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। ভৈরব-কুলিয়ারচর আসন থেকে তিনি ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচত হন।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ২০১৩ সালের ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।
এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে জিল্লুর রহমান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া স্বাধীনতার পর তিনি তিনবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী বেগম আইভি রহমান ছিলেন জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী। আইভি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দলীয় জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আহত হন এবং ২৪ আগস্ট মারা যান। তাঁদের একমাত্র ছেলে নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও সভাপতি।