জয়পুরহাটে শ্রমিকনেতা জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার

জয়পুরহাটে মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন চলাকালে বুথ দখল, হামলা ও ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সভাপতি পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোরে জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি।
এদিকে নির্বাচন বানচালের জন্য উভয় পক্ষ একে অপরকে দায়ী করে সংবাদ সম্মেলন করেছে। আজ দুপুর ২টায় জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে জাহাঙ্গীরকে দায়ী করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এবং দৈনিক জয়পুরহাট খবর পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গতকাল সকালে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন চলাকালে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। জাহাঙ্গীর আলম পরিকল্পিতভাবে তাঁর লোকজন নিয়ে বুথ দখল করে তাণ্ডব চালায়। এর ফলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। কিন্তু তিনি গতকাল রাতে বগুড়া প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনের করে আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দেন।’
সোলায়মান আলীর এই বক্তব্যের সমর্থনে জয়পুরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জয়পুরহাট মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পৃথক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আব্দুল হাফিজ সরদার, সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির কার্যকরী সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম রফিক স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে ত্রিবার্ষিক নির্বাচন বানচাল করার জন্য জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও তাঁর সহযোগী সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গোলাম মর্তুজা শিপলুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জয়পুরহাট মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
গতকাল রাতে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচন বানচালের জন্য সোলায়মান আলীর নামে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন চলাকালে বুথ দখল, হামলা, ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়া, সহিংস ঘটনার পর গতকাল রাতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তমিজার রহমান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ ১৫০ জনকে আসামি করে জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলার প্রধান আসামি থাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।