জয়পুরহাটে মোটরশ্রমিক নির্বাচনে হামলা, ভোট স্থগিত

জয়পুরহাটে মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন চলাকালে বুথ দখল, হামলা ও ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে জয়পুরহাট বাস টার্মিনালের পাশে হারাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণের সময় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন চলাকালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের সমর্থকরা বুথ দখল করে ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেয় এবং রাবার স্ট্যাম্প, ব্যালট বাক্সসহ ভোটের উপকরণাদি নষ্ট করে ফেলে। এ সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কয়েকটি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মো. রফিক ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেন, তাঁদের প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর চৌধুরী ও গোলাম মর্তুজা শিপলুর বিরুদ্ধে শ্রমিকরা ভোট দিচ্ছেন-এমন খবর পেয়ে জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একদল বহিরাগত শ্রমিক ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলে এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
অপরদিকে সভাপতি পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, সাধারণ শ্রমিকরা গোলাম মোস্তফা ও মো. রফিকের বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছে-এই খবরে রফিক ও মোস্তফার পক্ষে একদল যুবক বুথ দখল করে ভোটবাক্স থেকে ব্যালটগুলো বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর নিজেদের পক্ষে ভোট দিতে শুরু করে।
এদিকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. তমিজার রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন চলার সময় একদল বহিরাগত যুবক ভোটকেন্দ্রে জোর করে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে এবং পুড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, দুপুরে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে উত্তেজিত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শটগানের তিনটি গুলি ছোড়ে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষ থেকে মামলা করা হয়নি বলেও তিনি জানান।
এদিকে বিবদমান দুই পক্ষকে দায়ী করে পরিকল্পিতভাবে এ নির্বাচন ভণ্ডুল করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে মোটরশ্রমিকদের একাংশ।