গাড়ি চালালেন কারা হাবিলদার, দুর্ঘটনায় আহত ৪

চালক না হয়েও গাড়ি চালান তিনি। দায়িত্ব জেলখানার ভেতরে থাকলেও প্রায়ই বাইরে যান জেলখানার গাড়ি নিয়ে। আজ শনিবার সকালে দুই আসামিকে মেডিকেল চেকআপ করানোর জন্য গাড়ি নিয়ে বের হয়ে দুর্ঘটনা ঘটালেন তিনি। এতে তিন পুলিশ সদস্য ও এক কারারক্ষী আহত হয়েছেন। তিনি খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের হাবিলদার মো. আবদুল কাদের।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতাল চত্বরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিন পুলিশের নাম ও পদবি জানা যায়নি। তবে কারারক্ষী আবুল হোসেনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাঁকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নয়নময় ত্রিপুরা জানান, সকালে কারা হাবিলদার আবদুল কাদের দুজন আসামিকে মেডিকেল চেকআপ করতে নিয়ে আসেন। চেকআপ শেষে গাড়ি স্ট্যার্ট দিতে গিয়ে গিয়ার দিতে ভুল করায় গাড়ি জাম্প করে। এ সময় পেছনে থাকা তিন পুলিশ সদস্য ও এক কারারক্ষী পড়ে যান। কারারক্ষী আবুল হোসেনকে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবদুল কাদের কারাগারের গাড়িচালক নন। তিনি কারা হাবিলদার। গাড়ি চালনায় অদক্ষতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এই দুই আসামি পালাতে পারেনি।
এই বিষয়ে আবদুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তাঁর নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার নির্দেশেই তিনি গাড়ি চালিয়েছেন। তিনি কারা অভ্যন্তরে সকাল ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত দায়িত্ব থাকার সময় কীভাবে বাইরে এলেন, গাড়ি চালালেন, দুর্ঘটনা ঘটালেন, পুলিশসহ চারজনকে আহত করলেন এই বিষয়ে বক্তব্য দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
খাগড়াছড়ির কারা সুপার মো. নাসির উদ্দিন জানান, নিয়মিত চালক ছুটিতে থাকায় এবং দুই আসামিকে বিজ্ঞ আদালত মেডিকেল চেকআপ করতে বলায় নিরুপায় হয়ে কারা হাবিলদার আবদুল কাদেরকে দিয়ে আসামিসহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিন পুলিশ সদস্য ও এক কারারক্ষী সামান্য আহত হয়েছেন জানালেও তাদের পরিচয় জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন বলেন, পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা খাগড়াছড়ি শহর সফরে থাকায় তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে এখনো অবগত হতে পারেননি।