কিশোরগঞ্জে বিসিএস শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু

পদোন্নতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জে বিসিএস শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। আজ মঙ্গলবার কর্মবিরতি সভায় বক্তারা দাবি পূরণ না হলে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মবিরতিসহ সব ধরনের পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
দাবি আদায়ে গত শুক্রবার ঢাকা কলেজসংলগ্ন নায়েম মিলনায়তনে এক জরুরি সভায় সাধারণ শিক্ষা সমিতি আজ থেকে তিনদিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়।
কর্মবিরতির কারণে জেলা সদরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজে কোনো ক্লাস হয়নি। গুরুদয়াল সরকারি কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কলেজ ইউনিটের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কলেজ ইউনিটের সভাপতি মো. জাকিরুল ইসলাম আকন্দের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান ও কলেজশিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির পাঁচ দফা দাবি হলো
১. প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য ক্যাডারের মতো পঞ্চম গ্রেডের সহযোগী অধ্যাপকরা পদোন্নতি পেয়ে অধ্যাপক পদে তৃতীয় গ্রেডে বেতন পাবেন এবং ১ জুলাই ২০১৫ থেকে কার্যকর হবে, এর সুস্পষ্ট প্রজ্ঞাপন জারি।
২. ক) সমিতির প্রস্তাবিত নায়েমের মহাপরিচালক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যান, জেলা সদরের অনার্স/মাস্টার্স কলেজের অধ্যক্ষের পদ ১ নম্বর গ্রেডে উন্নীতকরণ।
খ. মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, নায়েম, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকের পদসমূহ, অনার্স/মাস্টার্স কলেজের উপাধ্যক্ষ পদ, শিক্ষা বোর্ডসমূহের সচিব এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য পদসমূহ ২ নম্বর গ্রেডে উন্নীতকরণ।
গ) ১৯৮৭ সালের সমীক্ষা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অনার্স/মাস্টার্সের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিভাগে দুজন করে অধ্যাপকের পদ সৃষ্টির কথা বলা আছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি অনার্স/মাস্টার্স বিভাগে দ্বিতীয় গ্রেডের একজন সিনিয়র অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি করতে হবে।
ঘ) স্বাস্থ্য ও কারিগরি শিক্ষার মতো শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপকদের বেতন স্কেল চতুর্থ গ্রেডে উন্নীতকরণ।
৩. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘদিন ফাইলবন্দি ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতির প্রস্তাব অনুমোদন করতে হবে। চূড়ান্ত প্রাপ্য পদের বিপরীতে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে এবং ১৯৮৭ সালের সমীক্ষা কমিটির সুপারিশ (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অনুমোদিত) অনুযায়ী প্রতিটি অনার্স-মাস্টার্স বিভাগে দুজন অধ্যাপকের একজনকে দ্বিতীয় গ্রেডের সিনিয়র অধ্যাপকের পদমর্যাদায় উন্নীত করতে হবে।
৪. বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখতে হবে।
৫. প্রজাতন্ত্রের অন্য ক্যাডারের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।