প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সবার সহযোগিতায় ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার দেশের ২৩৪ পৌরসভার ভোটগ্রহণ শেষে রাত সোয়া ৮টায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয়ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটাদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। এই নির্বাচনে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে জন্য ইসি সতর্ক ছিল।’

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গণমাধ্যম ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। সংবাদমাধ্যমের কাছেও অনেক তথ্য পেয়ে আমরা উপকৃত হয়েছি। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ আরো বলেন, ‘সারা দেশে তিন হাজার ৫৫৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫০টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়। এর মধ্যে নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভার সবগুলো কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিছু অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে সহায়তার জন্য ভোটার, রাজনৈতিক দল, সব প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

কত শতাংশ ভোট পড়তে পারে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আজ (বুধবার) শেষ রাত নাগাদ আমরা সব পেয়ে যাব। এখনই বলা যাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, জাল ভোটের কারণে কয়েকজনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। জেল দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করব।’

পৌর নির্বাচনে ইসি অসহায়-বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘এটা তো আপনারা প্রথম থেকেই বলে আসছেন। সবার সহযোগিতায় এমন একটি মহাযজ্ঞ হয়। এটা অসহায়ত্বের বিষয় নয়। আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখনো বদলে যায়নি। প্রত্যেকটি বিষয়ের সমাধান আছে। কোনো বিষয়ে চাইলে প্রতিকার চাইতে পারেন। সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত এ ব্যাপারে যাওয়া যায়। তবুও আমরা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যাই। এটি অসুস্থ ট্র্যাডিশন। এই পরিস্থিতির মধ্যে আমরা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করেছি। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তা পর্যন্ত বদল করেছি। আমরা চেষ্টার ত্রুটি করিনি, করবও না।’

এই নির্বাচন নিয়ে ইসি সন্তুষ্ট কি ন-এর জবাবে সিইসি বলেন, ‘সন্তুষ্ট-অসন্তুষ্ট আপেক্ষিক বিষয়। এটা আমাদের কাজ, আমরা করে যাব। আমরা সুষ্ঠুভাবে কাজ করে যাব। পরীক্ষার্থী কখনো নিজের খাতায় নম্বর দেয় না। সেটা আপনারা দেবেন। জনগণও দিচ্ছে।’ আগের তুলনায় এই নির্বাচনে সহিংসতা অনেক কম হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।