আওয়ামী লীগের এমপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরসভা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। কিশোরগঞ্জ ৫ আসনের ওই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। উভয়েই নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন।
ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচন করছেন উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন আশরাফ। তিনি সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের ছোট ভাই।
আজ রোববার দুপুর ৩টায় কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বাজিতপুর ডিগ্রি কলেজ ও পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শওকত আকবর বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে গভীর রাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও তাঁর ভাই আনোয়ার হোসেন আশরাফের পক্ষে সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া আমার কর্মীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানির পাশাপাশি সংসদ সদস্যের সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এ অবস্থায় নির্বাচনে প্রচার কার্যক্রম সম্ভব না হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একাধিক লিখিত আবেদন করা হলেও নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
রিটার্নিং কর্মকর্তাকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুগত দাবি করে তাঁর দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে শওকত আকবর তাঁর জায়গায় একজন বিচারিক হাকিমকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগসহ সেনাবাহিনী ও র্যাব মোতায়েনের দাবি জানান।
শওকত আকবর স্বতন্ত্র হিসেবে জগ মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
এদিকে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এহসান কুফিয়া আজ দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবে স্থানীয় সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘ধানের শীষ প্রতীকের সব পোস্টার এমপির লোকজন ছিঁড়ে ফেলেছে। এ ছাড়া পুলিশের হয়রানি ও এমপির পালিত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে বিএনপির কর্মীরা আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনা মোতায়েনের দাবি জানান এহসান কুফিয়া। সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে সমাবেশ করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন এহসান।
সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবি আঁচ করে প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে এবং চরিত্র হননের পথ বেছে নিয়েছে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ জেড এম শারজিল হাসানের সঙ্গে মুঠোফোনে ও টেলিফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।