শীতে বেড়েছে রোগের প্রকোপ, হাসপাতালে ভিড়

পৌষের প্রচণ্ড শীত জেঁকে বসেছে ভৈরবে। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা বাতাস শীতার্ত দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলেছে। আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে ঠান্ডাজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব। এসব রোগে আক্রান্ত পরিবারের বৃদ্ধ আর শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোও অতিরিক্ত রোগী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৯ জন বৃদ্ধ ও শিশু। ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে তাদের অনেককেই ঠাঁই দিতে হয়েছে ওয়ার্ডগুলোর মেঝেতে। এ ছাড়া প্রতিদিন বহির্বিভাগে কয়েকশ রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে ভিড় করছে।
প্রায় একই অবস্থা স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে। শীতের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডাজনিত এসব রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইউনুস।
এদিকে এলাকার খেটে খাওয়া দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষও পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। একে তো শীতের প্রকোপ, অন্যদিকে ঠিকমতো শ্রমবিক্রি করতে না পারায় আয়-রোজগার কমে গেছে। ফলে তাদের পড়তে হচ্ছে আর্থিক সংকটে।
অন্যদিকে প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় না থাকায় হাড়কাঁপানো শীতে নিদারুণ কষ্টে সময় কাটছে। শীতের হাত থেকে বেঁচে থাকায় সকাল-সন্ধ্যায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।