খোলা নর্দমায় পড়ে পা ভেঙেছিল এমপিরও

ঢাকা শহরের অধিকাংশ ম্যানহোলের ঢাকনা না থাকায় প্রায়ই পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হন। এমনকি মানিক মিয়া এভিনিউয়ের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত এলাকায়ও ঢাকনাবিহীন নর্দমা (ড্রেন) দেখা যায়। কয়েক মাস আগে এমনই এক নর্দমায় পড়ে পা ভেঙেছিলেন বরিশাল-২ (উজিরপুর, বানারীপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস।
গতকাল রোববার দশম জাতীয় সংসদের সংসদ কমিটির অষ্টম বৈঠকে উপস্থাপন করা কার্যবিবরণীতে এই অভিযোগ করেন এমপি ইউনুস। এতে সংসদ ভবন এলাকা ও সদস্যদের ভবনের নানা অসংগতি নিয়ে ২৩ আগস্টের বৈঠকে আলোচনা করা বিষয়বস্তু রয়েছে।
সেই কার্যবিবরণী থেকেই জানা যায়, ‘বৈঠকে তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সংসদ ভবন এলাকায় ওয়াকওয়েতে (হাঁটার পথ) খোলা ড্রেন রয়েছে। ওই ড্রেনে পড়ে তাঁর পা ভেঙে গেছে। ড্রেনগুলোর ওপর ঢাকনা থাকলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল রাতে তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘পৌর নির্বাচনের জন্য আমি এলাকায় অবস্থান করছি। তাই আজ বৈঠকে উপস্থিত হতে পারিনি।’
এমপি ইউনুস আরো বলেন, ‘ওই কাজগুলো (সংস্কার) শুরু হয়েছে দেখলাম। কিন্তু আমি এর পর বললাম, ড্রেনে ঢাকনা হলো, কিন্তু আমার পা ভেঙেই হলো।’
দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এমপি বলেন, ‘সংসদের দক্ষিণ পাশ দিয়ে প্রবেশের মুখে ফুটপাতের পাশেই ড্রেনটি। সেদিন আমি হেঁটে যাচ্ছিলাম। ড্রেনটি ঘাসে ঢাকা ছিল। ওই ড্রেনের গভীরতা ছিল সাড়ে তিন ফুটের মতো। এটার মধ্যে পড়ে আমার পা ভেঙে যায়। এরপর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন আমি আল্লাহর রহমতে সুস্থ। তবে ড্রেন মেরামতের কাজ শুরু হওয়ায় আমি আজকের (রোববার) বৈঠকে উপস্থিত থাকলে কমিটিকে ধন্যবাদ জানাতাম।’
এদিকে, মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় এবং নাখালপাড়ায় সংসদ সদস্যদের জন্য বরাদ্দ করা আবাসিক বাসভবনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কমিটিতে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন এমপিরা।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর সংসদ কমিটির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপিসহ সাতজন নিয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ১ থেকে ৬ নম্বর সংসদ সদস্য ভবন পরিদর্শনে যান। সেখান বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করেন এবং সংসদ সদস্যদের সমস্যার কথা শোনেন। এ সময় পরিদর্শনকারী দলটি ৩ নম্বর ভবনের লিফটের ওপরে উঠতে গেলে অষ্টম তলায় গিয়ে লিফট আটকে পড়ে। প্রায় ১০ মিনিট পর লিফটম্যানের সহায়তার তাঁরা বের হন।
এ ছাড়া এমপিদের অনেকেই অভিযোগ করেন, সংসদ সদস্য ভবনের গ্যারেজে পানি থাকে না। সেখানে গাড়িচালকদের থাকার জন্য ব্যবস্থা নেই।