নবগঠিত মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভা কমিটির অধিকাংশ নেতা পদত্যাগ করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের একটি হোটেলে জেলা বিএনপি আয়োজিত এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে পদত্যাগকারী নেতারা তাদের পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

গত ১১ সেপ্টেম্বর জেলা আহ্বায়ক কমিটি মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভার প্রতিটিতে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। নয়টি কমিটির মোট ২৯৭ সদস্যের মধ্যে ১৬১ জন সদস্য এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য অ্যাডভোকেট মোকসেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান ও তোজাম্মেল হক তোজা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান ভুইয়া ফরিদ, আব্দুল বাতেন ও এস এম এম ইকবাল হোসেন।

এ ছাড়া নয়টি কমিটির পদত্যাগী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন মানিকগঞ্জ পৌর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন আহাম্মেদ যাদু, সাটুরিয়া উপজেলা কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস খান মজলিশ মাখন, শিবালয় উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সত্যেনকান্তি পণ্ডিত ভজন ও রহমত আলী লাভলু, দৌলতপুর উপজেলা কমিটির সদস্য হাজি মো. গোলাম মোস্তফা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লোকমান হোসেন, সিঙ্গাইর উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহমান রোমান, সিঙ্গাইর পৌর কমিটির সদস্য খান মো. রুমী, ঘিওর উপজেলা কমিটির সদস্য আহমেদ রাসেল, মো. লিয়াকত হোসেন ও অ্যাডভোকেট আবু কায়সার রেজা, অ্যাডভোকেট ফিরোজ আলম বাবু, হরিরামপুর উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কুদ্দুস ও সদস্য মোশারফ হোসেন শিকদার এবং সদর উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম নুরু।

বিএনপি নেতারা বলেন, চলতি বছরের ১ মে গঠিত জেলা বিএনপির কমিটির আহ্বায়ক জামিলুর রশিদ খান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান আতা এবং সদস্য সচিব এস এ জিন্নাহ কবির অজ্ঞাত স্থানে গোপনে মিটিং করে তাদের পছন্দের লোকজনকে দিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর জেলার সাতটি উপজেলা ও দুটি পৌর কমিটি কমিটি গঠন করেন। গঠিত কমিটিতে দলের দীর্ঘদিনে পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে এবং অনেককে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। তড়িঘরি করে অযোগ্য, নিষ্ক্রিয় এবং ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, ওই সব কমিটি বিলুপ্ত করে সবার মতামতের ওপর ভিত্তি করে নতুন করে কমিটি গঠনের দাবি জানান পদত্যাগী নেতারা।

তবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামিলুর রশিদ খান ও সদস্য সচিব এস এ কবির জিন্নাহ বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। সবার মতামত নিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়াতেই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। পাল্টা অভিযোগ করে তারা বলেন, যারা কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তারা দলের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছে।