চুরি হওয়া দুটি গরু উদ্ধার করে বিপাকে পড়েছে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানা পুলিশ। গরু দুটির মালিক না পাওয়ায় দুই মাস ধরে নিজ খরচে গরু দুটি লালনপালন করতে হচ্ছে তাদের। এরই মধ্যে গরু দুটির পেছনে অর্ধলক্ষাধিক টাকা খরচ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

গফরগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আহসান হাবিব গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গরু দুটি নিলামে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার আদালত প্রাঙ্গণে সেগুলো নিলাম হবে। এ নিয়ে বিপাকে আছি ভাই।’

পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে গত ১৬ জুলাই উপজেলার চরমছলন্দ মাইজপাড়া গ্রামের তালিকাভুক্ত গরুচোর বিল্লাল হোসেনের বাড়ি থেকে হাইব্রিড জাতের বড় ষাঁড় দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। রাতেই গফরগাঁও থানার এসআই বাপ্পা ঘোষ বাদী হয়ে বিল্লাল হোসেনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

কিন্তু শত চেষ্টা করেও গরুর মালিকের সন্ধান পায়নি পুলিশ। তাই বাধ্য হয়ে গরু দুটি থানা কম্পাউন্ডের ভেতর রেখে লালনপালন করে আসছে থানা প্রশাসন। 

এসআই আহসান হাবিব বলেন, ‘দুটি গরুর পেছনে প্রতিদিন রাখাল বাবদ খরচ ৬০০ টাকা এবং শুকনা ও তাজা খাবার বাবদ ৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। এ ছাড়া তিনশ টাকায় ত্রিপল কিনে তার নিচে গরু রাখা হয়েছে। হঠাৎ গরু অসুস্থ হয়ে পড়ায় দেড় হাজার টাকা খরচ করে চিকিৎসা করা হয়েছে।’

‘এখন গরু আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে বিক্রি করতেও গাড়িভাড়া বাবদ খরচ হবে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। পশু হলেও মানবিক কারণে গরু দুটিকে লালনপালন করা হয়েছে,’ যোগ করেন এসআই হাবিব।