টিকটকে প্রেম-বিয়ে, অতঃপর হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে আলোচিত ফাতেমা বেগম রূপালী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামি স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব।
পুলিশ সুপার জানান, গত ১১ জুলাই চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৬নং উপাদী ইউনিয়নের ঘোড়াধারি গ্রামের ফাতেমা বেগম রূপালীর নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ও নানান সোর্স ব্যবহার করে টানা ১৩ দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামি মো. জামাল গাজীকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এর আগে গত ১১ জুলাই নিহত রূপালীর ছেলে টিপু পাটোয়ারী বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্বীকার করেন ১১ মাস আগে টিকটকের মাধ্যমে ভিকটিমের সঙ্গে আসামির প্রেম হয় এবং পরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর ভিকটিমের বাড়িতে ঘরসংসার করে তারা। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন কারণে ও টাকা-পয়সা নিয়ে উভয়ের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি দুজনের বহুবিয়ের তথ্য উম্মোচন হওয়ায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, স্ত্রী রূপালী স্বামীর কাছে কাবিনের টাকা পরিশোধ করতে বলে। নিজেদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় একপর্যায়ে রাতে পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে ঘুমের মধ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান।
সংবাদ সম্মেলন শেষে রূপালী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামি স্বামীকে গ্রেপ্তার করায় মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহাম্মদকে পুরস্কৃত করেন পুলিশ সুপার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির, মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মো. সালেহ আহাম্মদ প্রমুখ।