বাকস্বাধীনতা হরণকারীরা মুক্তিযুদ্ধের শক্তি হতে পারে না

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, যে সমস্ত শাসকগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতা জোর করে আগলে রাখতে চায়, তারা সব সময় নাটককে ভয় পায়। যারা বাকস্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করছে, তারা আর যাই হোক মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হতে পারে না।
আজ শুক্রবার বিকেলে নেত্রকোনার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১৭তম নাট্য উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল আরো বলেন, দেশ যতই এগিয়ে যাচ্ছে, সমাজে নানা অনিয়ম, অনাচার, অত্যাচার-নির্যাতন ততই বেড়ে যাচ্ছে। সমাজ ক্রমশ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে নাটক হচ্ছে সমাজ বদলের হাতিয়ার। নাটকের মাধ্যমে সমাজের সব অনিয়ম, অনাচার, অত্যাচার নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে এর প্রতিবাদ জানানো যায়। জনগণকে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে গণসচেতন করা যায়।
সুলতানা কামাল সংস্কৃতিমনা নাট্যকর্মীদের সব অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে নাটকের মাধ্যমে দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
নেত্রকোনা মানবাধিকার নাট্য পরিষদের সভাপতি সালাউদ্দিন খান রুবেলের সভাপতিত্বে নাট্য উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খান মো. আবু নাসের, স্বাবলম্বীর নির্বাহী পরিচালক বেগম রোকেয়া, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন উপপরিচালক মোতাহার আকন্দ, নেত্রকোনা শিল্পকলা একাডেমির নাট্য প্রশিক্ষক আহম্মদ আলী সিদ্দিকী।
উৎসবে নাট্যব্যক্তিত্ব গৌরাঙ্গ চন্দ্র আদিত্য, লেখক ও সংগঠক অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী ও নাট্যব্যক্তিত্ব অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র চক্রবর্তীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
পরে সন্ধ্যায় স্থানীয় নাট্যদলের অংশগ্রহণে তিনটি বিষয়ভিত্তিক নাটক প্রদক্ষেপ, ইভটিজিং ও গৌধূলি মঞ্চস্থ হয়। এর আগে নাট্য উৎসব উপলক্ষে জেলা শহরে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।