ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মের বাইরে গিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কে এম খালিদ বাবুর বিরুদ্ধে।

খালিদ বাবু মুক্তাগাছা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য।

ওই নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সহসভাপতি মো. কামাল উদ্দিন। আজ বৃহস্পতিবার কামাল উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘নিয়োগ বাতিল না করলে কমিটির বেশির ভাগ সদস্য গণপদত্যাগ করতে প্রস্তুত আছেন।’

কামাল উদ্দিন জানান, ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ১৫ জন প্রার্থীর প্রাপ্ত আবেদন বাছাই করে ১২ জনকে ডাকা হয়। এর আগেই প্রার্থী গোলাম রব্বানী মিন্টুকে স্কুলের সভাপতি টেলিফোনে পরীক্ষায় অংশ না নিতে হুমকি দেন খালিদ বাবু। প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন গত ১৯ অক্টোবর সোমবার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। প্রথা অনুযায়ী একই দিন পরীক্ষা শেষে ফলাফল ঘোষণা করার কথা। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু খালিদ বাবু নিয়োগ কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর ছাড়াই গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১২টার পর ডেকে নিয়ে প্রার্থী মো আনোয়ার হোসেনকে নিয়োগপত্র ও যোগদানপত্র দেন। এই প্রক্রিয়ায় কমিটির কয়েকজন অনুগত সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির পদ থেকে কে এম খালিদ বাবুর করা ওই নিয়োগ বাতিল দাবি করে ১০ সদস্যের মধ্যে বেশির ভাগ সদস্য গণপদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান কামাল উদ্দিন। তিনি আরো জানান, পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে প্রথা ভেঙে প্রশ্নপত্র তৈরি, আগেই প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার মতো কাজও করেছেন খালিদ বাবু।

কামাল উদ্দিন আরো জানান, খালিদ বাবু ২০০৮ সাল থেকে স্কুলের সভাপতি হলেও উন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখেননি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কে এম খালিদ বাবু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এগুলো কে বলেছে? এগুলো ঠিক নয়। সব ঠিকমতোই করা হয়েছে।’