খুলনায় পাটের গুদামে ভয়াবহ আগুন

খুলনার দৌলতপুরে এফআর জুট ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের পাটের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার দুপুর ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই তা আশপাশের আরো কয়েকটি গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
খবর পেয়ে খুলনা, বয়রা, খালিশপুর, দৌলতপুরের সাতটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন পুরোপুরি নিভতে বেশ কিছু সময় লাগবে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা।
তবে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা এখনো অস্পষ্ট। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তিন শ্রমিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা প্রবীণ পাট রপ্তানিকারক আলহাজ আবদুল মান্নান জানান, গুদামের ধারণক্ষমতা ২০ হাজার ৯২০ বেল। গুদাম পূর্ণ থাকলে পাটের বাজারমূল্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা হবে।
আগুন লাগার পরপরই এফআর জুট ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের কার্যালয় থেকে সবাই হঠাৎ করে চলে যায়।
এফআর জুট লিমিটেড সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিল। যে গুদামে আগুন লেগেছে, সেই গুদামের বিপরীতেও ঋণ রয়েছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে সেখানে আসেন সোনালী ব্যাংকের দৌলতপুর শাখার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আবু হোসেন শেখ। তিনি জানান, এফআর জুট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলহাজ শরীফ ফজলুর রহমান ঘটনার সময় পাশের একটি কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আবু হোসেন শেখ আরো জানান, এফআর জুট কোম্পানি লিমিটেড তাঁদের বড় ঋণগ্রহীতা। কোম্পানির অনেকগুলো প্রকল্প রয়েছে এবং সবগুলোতেই ঋণ গ্রহণ করা আছে। তবে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত গুদামের বিপরীতে কী পরিমাণ ঋণ আছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
দৌলতপুর খান ব্রাদার্স কমপ্লেক্সে এফআর জুটের পাটগুদামের মধ্যে সাতটি কম্পাউন্ড রয়েছে। সবগুলোতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
গুদামটির পাট গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বিমা করা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের আঞ্চলিক প্রধান জাহাঙ্গীর হোসেন আবেদ। তিনি জানান, গুদামের সব পাটই বিমা করা। গত বছর মার্চ মাসে এই বিমা করা হয় এক বছরের জন্য। গুদামে ১০ কোটি টাকার পাট ছিল বলে বিমায় উল্লেখ করা হয়েছে। শরীফ ফজলুর রহমানের সব কটি গুদাম মিলে ২০ কোটি টাকার প্যাকেজ বিমা রয়েছে।