নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাসেমীকে লাঞ্ছিত করে আধা ঘণ্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে চলে না গেলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন প্রার্থী মনির হোসেন কাসেমী। সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হয়ে যাওয়ার পথে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপিনেতা পারভেজ আহমেদকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা  মুফতি মনির হোসেন কাসেমী অভিযোগ করে বলেন, সোমবার দুপুরে ভূঁইগড়ে নির্বাচনী গণসংযোগ করেন। ফেরার পথে দুপুর আড়াইটার দিকে ভূইগড় রূপায়নের গেটের সামনে হঠাৎ করে চার-পাঁচটি হায়েস মাইক্রোবাস তাঁর সামনে এসে দাড়ায়। ২০-২২ জন হবে। এর মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম আসেন। তিনি গাড়ির গ্লাস খুলে দেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তুই আধা ঘণ্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ছাড়বি, নইলে তোরে মাইরা ফালামু।’ সাত-আটবার একই কথা বলেন। এ সময় তাঁর পেছনে থেকে দুই-তিনজন আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন। শাহ নিজাম অনেকবার এ কথাটি বলছিলেন। একজন জামা ধরে টেনে তাঁকে লাঞ্ছিত করে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করেন।

পরে মুফতি মনির হোসেন কাসেমীকে বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানান এবং সেনাবাহিনীকে জানাতে ক্যাম্পে গেলে দায়িত্বরত অফিসার বিশ্রামে থাকায় চলে আসেন।

মুফতি মনির হোসেন কাসেমী অভিযোগ করে বলেন, এ সময়েই তাঁর ভাই মুক্তার হোসেনকে ফতুল্লা থানা পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। থানায় যাওয়ার পর পুলিশ একটি পুরান মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে দেয়।

শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার অঙ্গীকার করে মনির হোসেন কাসেমী বলেন, ‘আমার সংবিধানও এ কথা বলে না। আমি যদি এখান থেকে চলে যাই জনগণের সাথে, গণতন্ত্রের সাথে, সংবিধানের সাথে আমার অসদাচরণ হবে।’