‘মাদকসহ’ আটক তিন ছাত্রলীগ নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ‘মাদকসহ’ আটকের পর তিনজনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় তাঁদের অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওই তিনজন হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ মোস্তফা মনির ও রতন এবং সাংগাঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
পুলিশের দাবি, আটক ওই তিনজন তাস খেলছিলেন। তাঁদের অভিভাবকরা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে নিয়ে গেছেন। তাঁদের ছাড়া হয়নি।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর বাসায় অভিযান চালায়। সে সময় ছাত্রলীগের ওই তিন নেতাসহ ছয়জন তাস খেলছিলেন। পরে তাঁদের আটক করে থানায় আনা হয়।
ত্রিশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফয়জুর রহমানের দাবি, আজ শনিবার দুপুর ১২টায় মনির, কামরুল ও রতনসহ অন্য দুইজনের অভিভাবকরা থানায় এসে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে নিয়ে গেছেন। তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। অভিযানের সময় তাঁরা তাস খেলছিলেন।
এ বিষয়ে ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাবেক সংসদ সদস্যের বাসার দোতালার একটি কক্ষ ছাত্রলীগের অঘোষিত অফিস হিসেবে ব্যবহার ও দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক হাফেজ রুহুল আমীন মাদানি বলেন, ‘আমার ছেলে ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান মাহমুদ চেম্বারে তালা দিয়ে ওমরা পালনে গেছেন। কে অ্যারেস্ট হইছে আমি জানি না। রাজনীতির গ্রুপিং আছে। আমার বাসা থেকে অ্যারেস্ট হইছে কেউ বলে থাকলে এটি আমার বিরুদ্ধে প্রচারণা।’
এদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এলাকায় রাকিবুল ইসলাম রাকিব নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার চিকনা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
পুলিশের দাবি, রাকিবের কাছে ৫৫০ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ত্রিশালের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের ডান হাত নামে পরিচিত।