আওয়ামী লীগ ধৈর্য ধরতে পারে না : মওদুদ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। অধৈর্য হওয়ায় আওয়ামী লীগ বারবার একদলীয় শাসন কায়েম করে বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপির এই নেতা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘দেশের বর্তমান সংকট হাসিনা সরকারের তৈরি করা। এটি তৈরি হয়েছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে। এর থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে সবার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তার নেতৃত্বে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।’
মওদুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট্যে কিছু সমস্যা আছে। তারা ধৈর্য ধরতে পারে না, অস্থির হয়ে যায়। ১৯৭৫ সালেও তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। এবারও ক্ষমতায় এসে একই অবস্থায় ফিরে এসেছে।’
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করতে এমন কোনো হীন উদ্দেশ্য নাই, যেটা আওয়ামী লীগ বাস্তবায়ন করছে না। এমনকি কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যবই থেকেও জিয়ার অবদান মুছে দিতে চাইছে। কিন্তু এসব করে জিয়াউর রহমানকে মুছে দেওয়া যাবে না। স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ সবকিছুতে ব্যর্থ হয়েছে। আর তারা যেখানে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে জিয়াউর রহমান সফল হয়েছেন। তিনি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপ দিয়েছেন।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘জিয়ার সময় থেকেই জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তার অংশ হিসেবে এখন খালেদা জিয়াকে আটক করে রেখেছে। তাই এর বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তার মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাস আছে, এ জাতি গণআন্দোলন করে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে বারবার। এবার তারা রাজপথে গণআন্দোলন করবে, জনগণের দল হিসেবে বিএনপি তাদের সঙ্গে থাকবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘মনে রাখতে হবে আগামী নির্বাচন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়া আনা ও খালেদা জিয়ার মুক্তি একই সূত্রে গাঁথা। খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে জনগণের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। তাই সবার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দিতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। ২০১৮-১৯ হবে গণতন্ত্রের বছর, বেগম খালেদা জিয়ার বছর, শহীদ জিয়ার আশা আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের বছর।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতাকর্মীরা ‘জেলে তালা ভাঙব খালেদা জিয়াকে আনব’ দিচ্ছিলেন। এর সমালোচনা করে অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা জেলের তালা ভাঙবেন? এই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বসে জেলের তালা ভাঙবেন? দয়া করে এ স্লোগানটা দেবেন না। খারাপ লাগে। যেদিন এ স্লোগানটা জিরো পয়েন্টে থেকে দিয়ে জেলখানায় যেতে পারবেন, সেদিন এ স্লোগান দিয়েন। তার আগে নয়। সে জন্য প্রস্তুতি নিন।’
মির্জা আব্বাস আরো বলেন, ‘আজ অনেক সাংবাদিক জিয়াউর রহমানের নামে কটু কথা বলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এনে না দিলে আপনাদের মতো সাংবাদিক খেয়ে বাঁচতে পারত না। আপনাদের আজ এখানে দেখা যেত না।’