ময়মনসিংহে গ্রেপ্তারের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত

ময়মনসিংহে পৃথক ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন আলমগীর ও সিরাজুল। আজ শনিবার ভোররাত ৫টার দিকে ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল চন্দ্র দাস এ তথ্য জানান।
এসআই জানান, ময়মনসিংহ চরাঞ্চলের কাশেম হত্যা মামলার আসামি আলমগীর। তাঁকে শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর রাত আড়াইটার দিকে আলমগীরকে নিয়ে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে জয়বাংলা বাজার এলাকায় যায় পুলিশ। এ সময় পরানগঞ্জগামী সড়কে আলমগীরের সহযোগী সিদ্দিকসহ ৮-১০ জন পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি চালায়। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির মধ্যে আলমগীর গুলিবিদ্ধ হন। আহত আলমগীরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত ৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ সদর উপজেলার জয়বাংলা বাজার এলাকায় চরভাবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেমকে (৩৫) খুন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম একটি মামলা করেন, যাতে আলমগীরসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
অন্যদিকে ময়সনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীতে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী সিরাজুলকে আটক করা হয়। ভোরে তাঁকে নিয়ে সানকিপাড়ায় অভিযান চালালে পুলিশের সঙ্গে তাঁর সহযোগীদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সিরাজুল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, সিরাজুল মাদক ও দ্রুত বিচার আইনে ছয়টি মামলার আসামি। এছাড়া শুক্রবার ভোরে সে স্কুলশিক্ষক মোবারক মোর্শেদ মিল্কিকে ছুরিকাঘাতে আহত করে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহ দুটি রাখা হয়েছে।