নিজের এবং সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে আইনের আশ্রয় নিয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার এক স্কুলছাত্রী।

গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আবু মনসুর মো. জিয়াউল হক মামলাটি এজাহার হিসেবে আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তেঁতুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের মো. সোহেল (২২), তাঁর ভাই মো. জুয়েল (২৭), তাঁদের বাবা সফিকুল ইসলাম ওরফে খুদুত এবং ওই এলাকার মো. আহাবদ (৩২)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সোহেল ২০১৭ সালের ৪ মে থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেশী ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এর আগে তিনি বিয়ের নাটক সাজান। একপর্যায়ে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তখন সোহেল স্কুলছাত্রীকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন বললেও কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

পরে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা-মা বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্যরা বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি শেষ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু সোহেলের পরিবার তাতে কর্ণপাত করেনি।

এ ব্যাপারে স্কুলছাত্রীর পরিবার মামলা করতে গেলেও থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নেয়নি। তাই ওই স্কুলছাত্রী আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. আনিছুর রহমান।

মামলা না নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এখানে এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেননি। আসলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতো। তবে আদালতের নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’