পানির নিচে দেড় লাখ হেক্টর জমির ফসল

টানা বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের ৩২ জেলায় প্রায় দেড় লাখ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, এ জেলাগুলোর বেশির ভাগ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের (ডিএই) সূত্র জানায়, বৃষ্টিপাতে ৩২ জেলার সাত লাখ ১৫ হাজার ৬৫৬ হেক্টরের মধ্যে এক লাখ ৪৫ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমির আউশ ধান, আমন বীজতলা, রোপা আমন, বি-আমন, শাকসবজি, মরিচ ও পানসহ বিভিন্ন শস্য পানিতে ডুবে গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন লাখ ৬৭ হাজার ৬৩ হেক্টর আউশ জমির মধ্যে ৫৫ হাজার ৫০৫ হেক্টর, আমন বীজতলা এক লাখ ১৯ হাজার ৫৩৮ হেক্টরের মধ্যে ৪৭ হাজার ৫৮ হেক্টর, টি- আমন ৪৬ হাজার ৬৬৯ হ্ক্টেরের মধ্যে ১৮ হাজার ৭৪১ হেক্টর, শাকসবজি ৯৬ হাজার ৩০০ হেক্টরের মধ্যে ১৯ হাজার ৪০৫ হেক্টর, বি-আমন ২৬ হাজার ৭৮৮ হেক্টরের মধ্যে দুই হাজার ৬৬৫ হেক্টর, মরিচ ১১ হাজার ৪৭৭ হেক্টরের মধ্যে এক হাজার ৩৬১ হেক্টর এবং আট হাজার ২১ হেক্টরের মধ্যে ৫০১ হেক্টর পান পানিতে তলিয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো হলো ফরিদপুর, নড়াইল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, ফেনী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, মাগুরা ও পিরোজপুর।
সবচেয়ে বেশি শস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। এখানে ৫৫ হাজার ৩৬১ হেক্টর মধ্যে ৩৪ হাজার ৫৮০ হেক্টরের আমন বীজতলা, আউশ, শাকসবজি ও রোপা আমনের জমি প্লাবিত হয়েছে।
এরপর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নোয়াখালী। এখানে ৬৫ হাজার ৫১৭ হেক্টরের মধ্যে ২২ হাজার ৫৪৭ হেক্টরের ফসল প্লাবিত হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং) কৃষিবিদ সত্যান্ন কুমার দাস বলেন, প্লাবনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং আবাদের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে কিছু বিলম্বে ফলনের শস্য বীজ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্য জেলাগুলো হলো কুষ্টিয়া, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, পাবনা, চাঁদপুর, সিলেট, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, বাগেরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ।