কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, এক সপ্তাহ পর মামলা

নেত্রকোনায় এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিশোরীর স্বজনদের দাবি, থানা মামলা নেয়নি। ঘটনার এক সপ্তাহ পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে কিশোরীর পরিবার।
এদিকে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনসারি জিন্নৎ আলী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, কিশোরীর পরিবার থানা পর্যন্ত এলেও মামলা দায়ের না করেই চলে যায়।
কিশোরীর স্বজনরা গত ১৫ অক্টোবর নেত্রকোনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্গাপুর বিচারিক হাকিমকে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সাত কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণের মাধ্যমে জানা যায়, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ওই কিশোরী একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি প্রায়ই প্রেম নিবেদন করত। প্রেম নিবেদনে সাড়া না দেওয়ায় জহিরুল ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৮ অক্টোবর রাতে ওই কিশোরীর ঘরে প্রবেশ করে তুলে নিয়ে যায়। পরে কিশোরীটি ধর্ষণের শিকার হয়। বাড়িতে এসে নিজের মাকে বিষয়টি জানায় ওই কিশোরী। এ ব্যাপারে জহিরুলের পরিবারের কাছে গেলে তারা প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
মামলায় আরো বলা হয়, গ্রামের মুরব্বিদের কাছে বিষয়টি বলে ন্যায়বিচার চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে প্রভাবশালীদের চাপে থানা পুলিশও শেষ পর্যন্ত মামলা নেয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ। অবশেষে ন্যায়বিচারের আশায় নেত্রকোনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মোহনগঞ্জ থানার ওসি আনসারি জিন্নৎ আলী বলেন, ‘ঘটনার পরদিন কিশোরীর পরিবার থানায় এসেছিল। এসে কনস্টেবলের কাছে আমার কথা জিজ্ঞাসা করে। তখন অন্য কাজে থানার বাইরে ছিলাম। কিন্তু থানায় অন্য কর্মকর্তারা ছিলেন। সেখানে না গিয়ে তাঁরা ফিরে চলে যান।’
ওসি জিন্নৎ আলী বলেন, ‘আমি আদালতের নির্দেশ পালন করব। মামলার তদন্তভার দিলে তা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করব বলে আশা করি।’