‘নাতনির বিয়া হয় নাই, পেটে বাচ্চা আইল ক্যামনে?’

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ১৯ বছর বয়সী তরুণী রাশেদা (ছদ্মনাম)। মানসিক প্রতিবন্ধী রাশেদার বিয়ে হয়নি। গ্রামে আপন মনে এদিক-ওদিকে ছোটাছুটি করে বেড়াতেন। এখন তিনি হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা বলছেন, তিনি নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা!
৭০ বছর বয়সী নানা আক্কাস আলীর (ছদ্মনাম) অভিযোগ, রাশেদার গ্রামেরই দুই যুবক (অভিযুক্তদের পরিচয় এনটিভি অনলাইনের কাছে থাকা সত্ত্বেও তাদের বক্তব্য না পাওয়া যাওয়ায় নাম প্রকাশ করা হলো না) তাকে ধর্ষণ করেছে। তারা নিয়মিতই রাশেদাকে ধর্ষণ করত। কিন্তু রাশেদা মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিষয়টি আড়ালেই ছিল। গত রমজান মাসের মাঝামাঝিতে বিষয়টি সামনে চলে আসে।
আক্কাস আলী বলেন, ‘রমজানের এক রাতে রাশেদা ও তার বাবাকে খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায় এক প্রতিবেশী। খেতে গেলে রাশেদাকে ধর্ষণ করে ওই প্রতিবেশী। পরের দিন ঘটনাটি জানাজানি হলে তা ধামাচাপা দিতে রাশেদার বাবাকে ধর্ষকের পরিবার মাত্র এক হাজার টাকা এবং হুমকি দেয়।’
রাশেদার হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে জটিলতা। হাসপাতালের জরুরি মেডিকেল অফিসার সুস্মিতা বলেন, ‘১৮ আগস্ট রাশেদা হাসপাতালে ভর্তি হয়। এখন সে প্রায় নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ভর্তির সময় ঠিকানায় সলিমকে (ছদ্মনাম) তাঁর স্বামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।’
রাশেদার স্বামীর কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে আক্কাস আলী বলেন, ‘আমার নাতনি আড়াই মাস ধরে এখানে চিকিৎসাধীন। পেটে বাচ্চা এসেছে দেখে যারা ধর্ষণ করেছে, তারাই হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আমার নাতনির বিয়াই হয় নাই, পেটে বাচ্চা আইল ক্যামনে?’
তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে মামলা ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’