ময়মনসিংহে চোর সন্দেহে কিশোর সাগরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার কাইয়ুম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তিনদিনের রিমান্ড শেষে আজ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এস এম রাজিবুল হাসানের আদালতে কাইয়ুম জবানবন্দি দেন।

এ নিয়ে এই মামলায় গ্রেপ্তার রিয়াজ, ফজলুর রহমান, আক্কাস আলীসহ চার আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল চন্দ্র দাস জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে কাইয়ুম পুলিশের কাছেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার কাইয়ুমের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে তাঁকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের চার সদস্যের একটি দল জিজ্ঞাসাবাদ করে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোরে চোর সন্দেহে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামে কিশোর সাগরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী আক্কাস আলীর পরিত্যক্ত গাউসিয়া ফিশারির সাইনবোর্ডের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ওই কিশোরকে আক্কাস আলী ও তাঁর লোকজন লাঠি, গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক পিটুনি দেন।

এ ঘটনায় পরদিন দুপুরে সাগরের বাবা শিপন মিয়া বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচজনকে আসামি করে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ কর্মী আক্কাস আলী, তাঁর ভাই হাসু, সাত্তার, জুয়েল, সোহেল ও আক্কাসের কর্মচারী কাইয়ুমকে আসামি করা হয়।