সাকার রায় খসড়া ফাঁসে অভিযোগ গঠন পেছাল

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায়ের খসড়া ফাঁস হওয়ার মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পঞ্চমবারের মতো পেছাল। এ মামলার আসামি সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীসহ সাতজন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম সামসুল আলমের আদালতে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সাকা চৌধুরীর স্ত্রী অসুস্থ রয়েছেন মর্মে তাঁর আইনজীবী অভিযোগ গঠন পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক শুনানি শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন।
সাত আসামির মধ্যে সাকার স্ত্রী ফারহাত ও তাঁর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী জামিনে রয়েছেন। সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, সাকা চৌধুরীর ব্যবস্থাপক মাহবুবুল আহসান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক হোসেন কারাগারে আটক রয়েছেন। অন্যদিকে আইনজীবী ফখরুলের সহকারী মেহেদী হাসান পলাতক।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সালাউদ্দিনের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তাঁরা রায়ের খসড়া কপি সংবাদকর্মীদের দেখান।
রায় ঘোষণার পরদিন গত বছরের ২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
অন্যদিকে, একই বছরের ৪ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন।
পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মো. শাহজাহান ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।