রোহিঙ্গা সমস্যা : সামরিক নয়, শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বাংলাদেশ

সামরিক নয়, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ বিষয়ে মিয়ানমারের কোনো অজুহাতই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
হাসানুল হক ইনু বলেন, অং সান সু চি গণহত্যা ও নির্যাতনকে আড়াল করার অপচেষ্টা করেছেন, নিজ দেশের নাগরিকদের দেশে ফেরাকে ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছেন, শান্তির বদলে কতিপয় স্বার্থান্বেষীর জন্য অশান্তি জিইয়ে রাখার মন্ত্র জপছেন। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য না। কিন্তু আগে থেকে বাংলাদেশে আশ্রিতসহ সব রোহিঙ্গা যে মিয়ানমারের নাগরিক তা তাঁর বক্তব্যে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘে কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার পূর্ণ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও জাতিসংঘের ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থাপনায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত, সেদেশে নাগরিকত্ব, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান করতে হবে। আর এজন্য বাংলাদেশ যে ত্রিমুখী উদ্যোগ নিয়েছে তা হচ্ছে, শেখ হাসিনার শান্তি উদ্যোগ, কূটনৈতিক তৎপরতা ও গণমাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সঠিক চিত্রায়ন।’
অসাম্প্রদায়িক নীতি লঙ্ঘন করে মিয়ানমারে অং সান সু চি এবং ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধিতা করে বাংলাদেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংঘাত, সংঘর্ষ ও রক্তক্ষয় বেছে নিয়ে হিংসার পথযাত্রী হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সামরিক নয়, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বিশ্বব্যাপী যখন বাংলাদেশ প্রশংসিত হচ্ছে, তখন বিএনপি, খালেদা জিয়া ও জামাতীচক্র আভ্যন্তরীণ রাজনীতির রোহিঙ্গাকরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে সংগঠনের মহাসচিব ড. এম এ কাশেম, শান্তি গবেষক মাহবুবুল ইসলাম প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।