মানিকগঞ্জের বাড়ি থেকে ২০ রোহিঙ্গা আটক

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় একটি বাড়ি থেকে ২০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার দুপুর ও রাতে উপজেলার দুটি বাড়ি থেকে ওই ২০ জনকে আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে ১১ শিশু, ছয় নারী ও তিন পুরুষ রয়েছে। তাদের সিংগাইর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার তাদের কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রামের মাওলানা তাজুল ইসলামের বাড়ি থেকে বুধবার দুপুরে নয় রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। তাঁরা হলেন—ফয়েজুল ইসলাম (৩৫), আমেনা খাতুন (৭০), রাফিয়া বিবি (১৮), হাফসা বিবি (২৮), আরমান (৭), রুম্মান (৪), আবদুল হান্নান (৩), রুনাত (১) ও হাছিনা আক্তার (৭৩) । পরে রাতে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের রহিম মাতুব্বরের বাড়ি থেকে দুটি রোহিঙ্গা পরিবারের ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে এক নারী গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, মানিকগঞ্জে আসা রোহিঙ্গাদের সবাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার মন্ডুকাদের বিল গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে রোহিঙ্গাদের যেখানে রাখা হয়েছে, ওই স্থানে কোনো সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ। এ কারণে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুপুরে আটকের পর বুধবার বিকেলে নয় রোহিঙ্গাকে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আর্থিক সাহায্য করেন।
পুলিশ সুপার ওই রোহিঙ্গা পরিবারের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের কোনো ছবি তুলতে দেননি। কিন্তু ‘আমরা মানিকগঞ্জবাসী’ নামে একটি ফেসবুক আইডিতে রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে পুলিশ সুপারের ছবি পাওয়া গেছে।