ডা. জাফরুল্লাহকে সময় দিলেন ট্রাইব্যুনাল

আদালত অবমাননার কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেওয়ার সময় পেলেন গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ হাজির হয়ে সময় প্রার্থনা করলে আগামী ৫ আগস্ট পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়।
এ সময় ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও ছেলে ছিলেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে জাফরুল্লাহর পক্ষে তাঁর স্ত্রী ওকালতনামা দাখিল করে প্রস্তুতির জন্য সময়ের আবেদন করেন। এ সময় বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ নতুন দিন নির্ধারণ করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. মজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম।
গত ১২ জুলাই আদালত অবমাননার অভিযোগে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-২। একই সঙ্গে আজ সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে ডা. জাফরুল্লাহকে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে ৬ জুলাই ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন তিন মুক্তিযোদ্ধা ও গণজাগরণ মঞ্চের দুই সংগঠক। অভিযোগকারীরা হলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, মুক্তিযোদ্ধা আলী আসগর ও শেখ নজরুল ইসলাম এবং গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের আহ্বায়ক কামাল পাশা চৌধুরী ও কর্মী এফ এম শাহীন।
গত ১০ জুন আদালত অবমাননার দায়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এক ঘণ্টা আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকার সাজা ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। এক ঘণ্টা সাজাভোগের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন।
সেদিন ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমাকে সাজা দিয়ে ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি মানসিক অসুস্থতার পরিচয় দিয়েছেন। বিচারপতিরা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না।’ তিনি বলেন, ‘সমালোচনা থেকে বিরত রাখার অর্থ হচ্ছে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা।’
গত ১০ জুন বিবৃতিদাতা অপর ২২ বিশিষ্ট নাগরিককে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল-২। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আরো ১৫ জনকে একই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আদালত অবমাননার দায়ে বার্গম্যানকে সাজা দেওয়ায় এর নিন্দা জানিয়ে গত বছর ২০ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে বিবৃতি দেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এর পর ট্রাইব্যুনাল-২ তাঁদের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চান।