আ.লীগ কর্মীদের ওপর হামলা-গুলি, ইউপি চেয়ারম্যান আটক

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক পক্ষের কর্মীদের ওপর অপর একটি পক্ষের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চরআলগী বিশ্বরোড বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় স্থানীয় দোকানি নাজিম উদ্দিন (৭০) গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। সাকিব (২০) নামের এক যুবক গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
গফরগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তারিকুজ্জামান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় চরআলগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদুজ্জামান ডলারকে আটক করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ নাজিম উদ্দিন ও তাঁর সঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগ কর্মী জয়নাল আবেদীন টেলিফোনে এনটিভি অনলাইনকে অভিযোগ করেন, আজ বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কালো পতাকাবাহী মিছিলে যোগদানের জন্য নেতাকর্মীরা দলবেঁধে গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে আসছিলেন। এ সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান ডলার ও তাঁর লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
মুদি দোকানি নাজিম উদ্দিন আরো অভিযোগ করেন, তাঁকে দোকানে গিয়ে শটগান দিয়ে গুলি করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চরআলগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান ডলার। তিনি বলেন, ‘আমি গুলি করি নাই। এমনি মারামারি হয়েছে।’
অন্যদিকে গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল উদ্দিন আকন্দ দাবি করেন, ইউপি চেয়ারম্যানের গুলিতেই নাজিম উদ্দিনসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। নাজিমকে নিজের কর্মী এবং ইউপি চেয়ারম্যান ডলারকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজের সমর্থক বলে দাবি করেন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলও গুলিবিদ্ধ নাজিম উদ্দিনকে নিজের কর্মী বলে দাবি করেন।