প্রথম স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড, দ্বিতীয় স্ত্রীর ক্ষোভ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক হেলাল উদ্দিন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তির নাম মনিরুজ্জামান সেলিম। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম চুন্নু এসব তথ্য জানিয়েছেন। তবে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল রাতে মনিরুজ্জামান তাঁর স্ত্রী পাপিয়া আকতারকে হত্যা করেন। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে লাশ ঘরের ধর্নার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে স্ত্রীর স্বজনদের খবর দেন। পরের দিন পাপিয়ার বাবা সফর আলী বাদী হয়ে ফুলবাড়ীয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় স্বামী মনিরুজ্জামান, শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম ও শ্বশুর নজরুল ইসলামকে আসামি করা হয়। শুনানি শেষে দীর্ঘদিন পর আজ বৃহস্পতিবার আদালত মনিরুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া মামলার অপর দুই আসামি মনিরুজ্জামানের বাবা ও মাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর পাপিয়ার বাবা সফর আলী বলেন, ‘আমার মেয়েকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল। আমি ন্যায়বিচার পাইছি।’
অন্যদিকে, মনিরুজামানের দ্বিতীয় স্ত্রী ফারজানা আক্তার দিপা আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে যাব।’