রূপরেখা নিয়ে ‘নতুন চিন্তা’ করছে বিএনপি

ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিএনপি নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সম্প্রতি এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিএনপি নেতা এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকারে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সরকার, ষোড়শ সংধোনীর আপিল বিভাগের রায়, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ নানা বিষয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের নানা তথ্যও তুলে ধরেন বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ।
বিএনপি অনেকদিন আগেই বলেছিল, তাঁরা নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের একটি রূপরেখা দেবে। সেটি কবে নাগাদ আসতে পারে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া দেশে ফিরেই ভবিষ্যৎ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন। এটা আমাদের আগে থেকে ঘোষিত বিষয়। নেত্রী দেশে থাকা অবস্থায় বিশেষজ্ঞ দল এটা নিয়ে কাজ করেছেন। নেত্রী আসার পর তা চূড়ান্ত করা হবে। পরে তা নিয়ে জনমত সৃষ্টি করা হবে। ফলে আরো জনসংযোগ কর্মসূচি আসবে সামনে।
তবে হ্যাঁ, তত্ত্বাবধায়ক বা সহায়ক সরকার নিয়ে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা সংক্রান্ত রায়ের পর নতুন করে চিন্তা করার সময় এসেছে। আগে একটি রায়ে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার কথা বলা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ তা অমান্য করে নির্বাচন করেছে। এই নির্বাচন যে যথাযথ না তা এই প্রধান বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ রায়ের স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বলা হয়েছে, এই সংসদ ডিসফাংশনাল বা অকার্যকর। ফলে এই সরকারে সবকিছু এখন প্রশ্নের সম্মুখীন।
বিএনপি এই নেতা আরো বলেন, আপিল বিভাগের রায় আইনে পরিণত হয়। আপিল বিভাগের রায়ে কার্যকর সংসদের ব্যাপারে দিক-নির্দেশনা আছে। এটা রায়ের কথা। এ দেশের মানুষের কথা। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। এখন সরকার আপসে এ ব্যাপারে রাজি হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আমাদের নতুন করে প্রস্তাব দিতে হবে না। হ্যাঁ, প্রধান কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, সমঝোতা হতে পারে। এটা নিয়ে শুধু বিএনপি না, সরকার অন্যান্য দলের সঙ্গেও বসুক। এর বাইরে গেলে সরকার রায়কে অমান্য করবে। সেই রকম কিছু হলে তখন আমরা বাধ্য হব আন্দোলনের জন্য। যদি আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারি, তাহলে ২০১৪ সালের উদাহরণ আছে। এ ঝুঁকি বাংলাদেশ আবার নিবে কি না- সেটা হচ্ছে বিষয়।