মালিক-প্রতিনিধি না থাকায় ওয়েজবোর্ড হচ্ছে না : কাদের

মালিকপক্ষের প্রতিনিধি না থাকার কারণে সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের পথে তথ্য মন্ত্রণালয়ের শতকরা ৮০ ভাগ কাজ এগিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
আজ বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাসে সাংবাদিকদের কাছে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওয়েজ বোর্ডের ব্যাপারটা এটা নীতিগতভাবে সরকার এমনকি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা, তিনি বলেছেন তথ্যমন্ত্রীকে টু গো এহেড, সামনের দিকে এগিয়ে যেতে বলেছেন। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে, স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ওয়েজবোর্ড করে। অলরেডি বোধহয় ওয়েজবোর্ডের যিনি চেয়ারম্যান তাঁর নামটি ঠিক হয়ে গেছে, বিচারপতি নিজামুল হক সাহেবের নামটি এসেছে। তা আমি যতটুকু জানি তথ্যমন্ত্রীও আমাকে বলেছেন, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের পথে, ডিক্লেয়ারেশনের (ঘোষণা) পথে তাঁরা মন্ত্রণালয় শতকরা ৮০ ভাগ কাজ এগিয়ে গেছেন। এইটি পার্সেন্ট (৮০ ভাগ) কাজ কমপ্লিট হয়েছে।’
এ ব্যাপারে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, তথ্যমন্ত্রীকে স্টেকহোল্ডোরদের সঙ্গে আলাপ করে নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে ওয়েজবোর্ডের বিষয়টি এখন ইতিবাচকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে, এখানে কোনো বাধা নেই বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় ওয়েজবোর্ড সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মাননীয় অর্থমন্ত্রী কী বলেছেন আমি ঠিক জানি না। তো আমার মনে হয় কথায় কথায় তিনি যাই বলুন না কেন তিনিও আলোচনার দ্বার বন্ধ করে দেননি। তিনি বলেছেন, আলোচনা চলবে।’
‘আমি যতটুকু জানি, এ পর্যন্ত শুধু মালিক প্রতিনিধি না থাকার কারণে নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা যাচ্ছে না। মালিক-প্রতিনিধি আশা করছি পাওয়া যাবে উইদিন আ কাপল অব ডেজ (কয়েক দিনের মধ্যেই)। তো আমার মনে হয় তাহলে এরপর আর কোনো সমস্যা হবে না। মালিক-প্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা এখন নেই। মালিক-প্রতিনিধি যখন যোগ হয়ে যাবে, সাংবাদিকদের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব কিন্তু অলরেডি হয়ে গেছে। একটা জায়গাতে ঘাটতি আছে। এই ঘাটতিটা পূরণ হলেই ওয়েজবোর্ড যথাসময়ে ডিক্লেয়ার হবে। এবং এ ব্যাপারে সরকারের সম্মতিসহ তথ্য মন্ত্রণালয় ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে,’ যোগ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আরেক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বছর বর্ষা মৌসুমে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে সড়ক-মহাসড়কগুলো খারাপ হয়ে গেছে। ঈদে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সড়ক বিভাগের অধীন সকল সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তা না হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।