নেত্রকোনায় বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষ, আটক ৩

নেত্রকোনোর দুর্গাপুরে সদস্য সংগ্রহ অভিযানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের পর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল আলম ভুইয়া, যুবদল নেতা হারিস মিয়া ও তারা মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে পৌর শহরের কাচারি মোড়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান অনুষ্ঠান নির্ধারিত ছিল। সেই অনুযায়ী বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় অনুষ্ঠানস্থলের একপাশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও জড়ো হন। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের লোকজন বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশের এএসপি (দুর্গাপুর সার্কেল) শিবলী সাদিক, দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কাইসার কামাল বলেন, ‘আমাদের নির্ধারিত স্থানে উপজেলা ও পৌর বিএনপির সদস্য সংগ্রহের কথা ছিল। সেই অনুযায়ী নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হতে থাকে। এ সময় আওয়ামী লীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বলেন, ‘তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়নি। বিএনপির এক দল যুবক আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমি নিজেও আহত হয়েছি।’
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।