লংগদুর ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর করে দেবে সরকার

রাঙামাটির লংগদুতে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে তাঁদের বাড়িঘর তৈরি করে দেওয়া হবে।
প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব আবুল কালাম শামসুদ্দিন স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি এরই মধ্যে লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ক্ষতিগস্ত ২১২টি পরিবার তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি সেমিপাকা ঘর, একটি রান্নাঘর ও একটি করে শৌচাগার পাবেন।
এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত আটটি দোকানঘর পুনর্নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রাক্কলন প্রণয়নের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পকে নির্দেশনা দিয়েছে।
প্রতিটি বাড়ির ব্যয় পাঁচ লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চাহিদা অনুসারে আইটি ভ্যাট (১০ ভাগ) বাদে চার লাখ ৭২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জরুরিভাবে এসব বাড়ি তৈরির নকশা পাঠানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লংগদুর ইউএনও মোসাদ্দেক মেহেদী ঈমাম বলেন, ‘সোমবার চিঠি আমার হাতে এসেছে। এ বিষয়ে আমরা নকশা ও প্রাক্কলন তৈরির কাজ করছি। শিগগিরই এটি পাঠিয়ে দেবো। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে।’
গত ১ জুন খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ জুন তিনটি গ্রামের ২১২টি পাহাড়ি পরিবারের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনার পর থেকে দুই মাস ধরে কার্যত গৃহহীন এই পরিবারগুলো বর্তমানে তিনটিলা বনবিহার, মানিকজোড়ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লংগদু সরকারি হাইস্কুল ও লংগদু বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাসে আশ্রয় নিয়ে আছেন। আর কেউ কেউ অস্থায়ী টংঘর নির্মাণ করে অবস্থান নিয়েছেন পুড়ে যাওয়া বসতভিটার পাশেই।