দুই এসআইসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে রাজধানীর পল্লবী থানার দুই উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ১৮ জনের বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা করা হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে নালিশি মামলাটি করেন লাবনী নামের এক ব্যক্তি।
মামলার বাদী লাবনী আজ রোববার সকালে ঢাকার মহানগর হাকিম তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়ার আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি দেন। পরে বিচারক জবানবন্দি গ্রহণ শেষে মামলাটি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) পদমর্যাদার নিচে নয় এমন পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে ঘটনা তদন্ত করিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মিরপুর জোনের পুলিশের উপকমিশনারকে (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আসামিরা করা হয়েছে পল্লবী থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও জুবায়ের হোসেন এবং জনৈক সাইফুল ইসলাম, আমানউল্লা, রুবেল, সিরাজ বক্স, হারুন, আকতার, মিজান, ইমরান, নূর আলম, সুরুজ মিয়া, জৈন উদ্দিন, মাঈন উদ্দিন, সাঈন উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, ইয়াছিন শেখ ও আবুল হোসেনকে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১২ মে মিরপুর আলীনগর হাউজিংয়ের পাশে বাদী লাবনীর মামা মমিন বক্স কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে হ্যাবিলি প্রপার্টিজের কাজ করছিলেন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম ও আমানউল্লাসহ ১০-১২ জন তাঁদের (লাবনী ও মমিন বক্স) কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। গত ১৪ মে তাঁরা (লাবনী ও মমিন বক্স) কাজ করতে গেলে মামলার আসামিরা কাজে বাধা দেন। এ সময় তাঁরা (মামলার আসামি) বাদী লাবনীর ভাই রাজিব ও তাঁর মামা মমিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। পরে এ দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর কোনো কারণ ছাড়া পল্লবী থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে রাজীব ও মমিন বক্সকে আটক করে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে বাদী ৫০ হাজার টাকা দেন। এরপর ১৮ মে পল্লবী থানার অপর এসআই জুবায়ের পল্লবীর সিরামিক রোডে বাদীর শ্বশুরকে হোটেল থেকে পুলিশের গাড়িতে তুলে লাঠিপেটা করেন। এ সময় বাদীর কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। বাদী ২০ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকা না দেওয়ায় তাঁদের ২০টি রিকশা নিয়ে যায় পুলিশ। এ ছাড়া বাদীর পরিবারের সদস্যদের হত্যা মামলায় জড়ানোরও হুমকি দেয় পুলিশ।