যাঁদের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ

দশম জাতীয় সংসদে একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ছয়জন সাবেক সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে আজ মঙ্গলবার সর্বসম্মতিক্রমে শোকপ্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করেন।
যাদের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব আনা হয়েছে তাঁরা হলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. নূরুল হুদা, সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) এ এ মারুফ সাকলান, ধীরেন্দ্র নাথ সাহা, আলহাজ কে এম আবদুল খালেক চন্টু, কাজী মো. আনোয়ার হোসেন, এহসান আলী খান ও আহসান আহমেদ।
এ ছাড়া ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাহফুজুল বারী, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস, ভাষাসৈনিক খাজা জহিরুল হক, বিশিষ্ট শিল্পপতি মির্জা আলী বেহরুজ ইস্পাহানি, নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আসাদোজ্জামান, জাতীয় নেতা এ এইচ এম কামরুজ্জামানের সহধর্মিণী জাহানারা জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ টি এম জহুরুল হক, প্রখ্যাত সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানের সম্পাদক আমির হোসেন, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দ, বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার কুটি মনসুর এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা মিজু আহমেদের মৃত্যুতে সংসদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
পাশাপাশি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে সন্ত্রাসী হামলা, আফগানিস্তানে সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা এবং দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণেও সংসদে শোকপ্রকাশ করা হয়।
শোকপ্রস্তাবে মৃত্যুবরণকারী সবার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। পরে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সরকারি দলের এ কে এম এ আওয়াল (সাইদুর রহমান)।