মানিকগঞ্জে পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার খলসি বসুপাড়া এলাকায় দুই দফা পুলিশের হস্তক্ষেপের পর আজ বুধবার বিকেলে এক শিক্ষার্থীর (১১) বিয়ে বন্ধ হয়েছে। ওই মেয়েটি খলসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, কিছু দিন আগে পরিবারের লোকজন ওই ছাত্রীর সঙ্গে পাশের ঘিওর উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের এক ছেলের (২৫) বিয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন। এতে স্কুলছাত্রী বিয়েতে রাজি না হয়ে সহপাঠীদের মাধ্যমে বিষয়টি তার প্রধান শিক্ষককে জানায়। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বুধবার সকাল থেকে ছাত্রীর বাবার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন শুরু হয়।
এ সময় ওই প্রধান শিক্ষক বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এরপর বিকেল ৫টার দিকে বরকে সঙ্গে নিয়ে লোকজন চলে আসে। পুলিশের হস্তক্ষেপ উপেক্ষা করে তারা বিয়ের প্রস্তুতি অব্যাহত রাখে।
এ খবর পেয়ে আবারও পুলিশ এসে বর ও কনের পরিবারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করে। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পুলিশকে অনুরোধ জানিয়ে বিয়ে দেওয়া হবে না বলে নিশ্চয়তা দেন।
খলসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাদের শিকদার জানান, মেয়েটি পড়াশোনায় ভালো। সে এখনি বিয়েতে রাজি না হয়ে পড়াশোনা চালু রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ কারণে একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে রক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিশাত জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিশ্চয়তায় বাল্যবিবাহ না দিতে বর ও কনের পরিবারের লোকজনকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এরপরও বাল্যবিবাহের ব্যবস্থা করলে কিংবা বিবাহ দিলে অভিভাবকদের গ্রেপ্তার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হবে।