রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তর করা হবে : মায়া

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, কক্সবাজারের পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখতে অচিরেই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে নোয়াখালীর ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তর করা হবে।
রোহিঙ্গারা পর্যটন নগরী কক্সবাজারের পরিবেশ বিপন্ন করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা পর্যটন শিল্পের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
আজ শনিবার মন্ত্রী কক্সবাজারের কুতুবপালং শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন কালে এ নির্দেশ দেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ, শরণার্থী ক্যাম্পের কমিশনার আবুল কালাম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, শরণার্থী ক্যাম্পের কর্মরত বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি ও আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া অননুমোদিত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি প্রত্যেক শরণার্থীকে পরিচয়পত্র বহনেরও নির্দেশ দেন ।
মন্ত্রী বলেন, শরণার্থী ক্যাম্পের নারী ও শিশুদের যেকোনো অনৈতিক কাজে ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তিনি বলেন, ক্যাম্পের ভিতরে মাদকের অনুপ্রবেশ রোধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মায়া এ সময় রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা ও লেখাপড়ার খোঁজখবর নেন। ক্যাম্পে বার্মিজ ভাষায় শিক্ষাদানের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তাদের শিক্ষা-দীক্ষা, মূল্যবোধ তাদের মতো করে রক্ষা করার জন্য তিনি সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন। রোহিঙ্গাদের কুটির শিল্পে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি শিক্ষা প্রদানের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
কুতুবপালং শরণার্থী ক্যাম্পে ১৩ হাজার ৯০১ জন শরণার্থী রয়েছে।