৭৫-এর ভূমিকা গ্রহণকারীরা জঙ্গি হামলায় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যায় ভূমিকা গ্রহণকারীরা বিভিন্ন নামে জঙ্গি হামলা চালাচ্ছে।
আজ বুধবার বিকেলে নেত্রকোনার পূর্বধলায় জগৎমনি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ২০০ দুর্লভ আলোকচিত্রসংবলিত একটি গ্যালারির উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ১৯৭১ সালের পরাজিত শত্রুরা ঘাপটি মেরে বসেছিল। তারা ও ১৯৭৫ সালের ভূমিকা গ্রহণকারীরা একেকবার, একক নামে আত্মপ্রকাশ করে জঙ্গি হামলা চালায়। জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
ফটোগ্যালারির আলোকচিত্রের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, একেকটি ছবিতে যুদ্ধকালীন বাংলাদেশ উঠে এসেছে। ইতিহাস-ছোঁয়া এসব ছবি মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার শত্রু সেনাদের বীভৎস বর্বরতা ও নৃশংসতার চিত্র তুলে ধরছে। পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসরদের অপকর্মের সাক্ষ্য এসব ছবি মানবতাবিরোধী অপরাধের দলিল। যুদ্ধমুখর দিনগুলোর উপাখ্যান, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, শরণার্থী শিবিরে মানুষের মানবেতর জীবনযাপন, বিপন্ন-অসহায় মানুষের আর্তনাদ উঠে এসেছে বেশির ভাগ ছবিতে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও উদ্দীপ্ত জনতার ছবি দেখিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে আক্ষরিক অর্থেই রূপ দিতে একজন সাধারণ মানুষ হয়েই বঙ্গবন্ধু নেমেছিলেন মুক্তির বারতা নিয়ে। স্বাধিকারের কথা উচ্চারণ করে অবলীলায় কারাবরণ করেছেন। মুক্তির চেতনায় গোটা জাতিকে উজ্জীবিত করেছেন। বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’। তিনি আমাদের চেতনার বাতিঘর।”
গ্যালারি উদ্বোধনের পর মন্ত্রী এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। এতে স্থানীয় এমপি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটিএন নিউজের বার্তাপ্রধান প্রণব সাহা।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নেত্রকোনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসাইন আকন্দ, পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব চৌধুরী, পূর্বধলা উপজেলার চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নমিতা দে প্রমুখ।