পাবনায় শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, লাশ নদীতে

পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা এলাকায় নদী থেকে বালু তোলার মজুরি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওই শ্রমিকের নাম শাহ আলম (২৫)। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চর উথুলিয়া গ্রামে। তিনি ভাড়ারা ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের বালুঘাটে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।
পাবনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম জানান, নদীর ঘাট থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে নদীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নৌকায় শাহ আলমসহ দুজন ছিলেন। তাঁদের একজন ড্রেজারম্যান, অন্যজন নৌকার মাঝি। নৌকায় বালু নিয়ে ফেরার সময় আরেক নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ড্রেজার চালক শাহ আলম নৌকা থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। স্থানীয়রা তাঁকে খোঁজার চেষ্টা করছেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, ভাড়ারা এলাকায় পদ্মা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহল বালু উত্তোলন করে আসছে। শ্রমিকের সঙ্গে মালিকপক্ষের মজুরি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শাহ আলমকে নৌকার বৈঠা দিয়ে পেটানো হলে তাঁর মৃত্যু ঘটে। পরে তাঁর লাশ মাঝ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ভাড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান জানান, তিনি লোক মুখে শাহ আলমের মৃত্যুর কথা শুনেছেন। কিন্তু কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।