খাগড়াছড়িতে আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৬

খাগড়াছড়ি জেলা সদরের শালবন এলাকায় গতকাল রোববার রাতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, সংঘর্ষের পর গতকাল রাত থেকে এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আজ সোমবার অস্ত্রসহ হাসমত উল্লাহ (২৩) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভোরে জেলা পরিষদ কাম কমিউনিটি সেন্টার থেকে কিরিচ, ছুরিসহ হাসমতকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আজ বেলা ৩টায় সদর থানায় হাসমতকে গণমাধ্যমের সামনে আনা হয়।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন তারেক হোসাইন (১৯), আতিক উল্লাহ সুজন (১৮), মো. জয়নাল আবেদিন (২২), রেজাউল করিম (১৯) ও সুমন (২০)।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান জানান, হাসমতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় সব আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রোববার রাতে গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনকে আজ সোমবার আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিধান কানুগো জানান, ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষে হাসমত উল্লাহ, আতিক উল্লাহ সুজন, মফিজ উল্লাহ, মো. জয়নাল আবেদিন ও রেজাউল করিমকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসএসসি পরীক্ষার কারণে তারেক হোসাইনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
এদিকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আহতদের হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে পুলিশ নিরীহ লোকদের লাঠিপেটা করে। এদের মধ্যে তারেক নামের একজন এসএসএসি পরীক্ষার্থী রয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। লাঠিপেটার ঘটনাটি পুলিশ অস্বীকার করেছে।
এর আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে জেলা সদরের শালবন এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহেদুল আলমের পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারীসহ আহত ছয়জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে চারজনকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুমন নামে একজনকে আটক করে।