ট্রাকটি চালাচ্ছিল চালকের কিশোর সহকারী!

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলার আলুটিলা পর্যটন এলাকায় ট্রাকের চাপায় নিহত হয়েছে আটজন। ওই ট্রাকটি চালাচ্ছিল চালকের এক কিশোর সহকারী! ট্রাকের চালক জেলার জালিয়াপাড়ায় নেমে পড়েন অনেক আগেই।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার ওই দুর্ঘটনায় আহত হয় অনেকেই।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মো. আবদুল হান্নান বলেন, পাথরবোঝাই ট্রাকটির চালক খাগড়াছড়ির জালিয়াপাড়া এলাকায় ট্রাক থেকে নেমে পড়েন। এরপর চালকের আসনে বসে চালকের সহকারী সুমন (১৭)। সে ট্রাকটি চালিয়ে যাচ্ছিল খাগড়াছড়ি। দুর্ঘটনার পর সুমনকে আটক করা হয় বলেও জানান তিনি।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতরা হচ্ছেন মহালছড়ি উপজেলার চুংড়াছড়ির মংপ্রু মারমার স্ত্রী নাইম্রা মারমা (৪০) ও তাঁর ছেলে চিংলা মারমা (১৩), একই এলাকার চাইলাপ্রু মারমার ছেলে উচিংনু মারমা (১৫), মংমং মারমার মেয়ে মাথিং মারমা (৫), চাইহ্লা মারমার মেয়ে টুনটুনি মারমা (১০), মংক্ররীর মারমার ছেলে অংক্যচিং মারমা (১২), রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের নাকপা এলাকার আক্যসুই মারমার ছেলে সাথোইপ্রু মারমা (১৫) ও ববি মারমা (৩০)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে পাথরবোঝাই (নুড়ি পাথর) একটি ট্রাক খাগড়াছড়ি যাচ্ছিল। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলুটিলা পর্যটন এলাকায় বৌদ্ধভিক্ষু ভদন্ত চন্দ্র মনি মহাস্থবিরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উপলক্ষে আয়োজিত মেলার একটি দোকানে ঢুকে যায় ট্রাকটি।
এতে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ সাতজন নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত ও নিহতদের লাশ উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এর মধ্যে গুরুতর আহত এক নারী ও শিশুসহ তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজন মারা যান।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক নয়নময় ত্রিপুরা জানান, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসার জন্য প্রচুর রক্তের প্রয়োজন। তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।