নেত্রকোনা শহরের রাজুর বাজার এলাকায় কাল বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হচ্ছে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা আয়োজনের জন্য এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

ইজতেমাকে সফল করতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা গত ডিসেম্বর মাস থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে ইজতেমা ময়দানে বাঁশ খুঁটি দিয়ে প্যান্ডেল বানানোর কাজ করেছেন।

ইজতেমার মাঠে তাবলিগ জামাতের অনুসারী জামান মিয়া বলেন, ‘আমরা আল্লাহ ও রাসুলের (সা.) মহব্বতকে বুকে ধারণ করে আল্লাহর সন্তুষ্টির লাভের আশায় ইজতেমার কাজ করতে এসেছি। এরই মধ্যে ইজতেমার মাঠে বিভিন্ন উপজেলা থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন।’

ইজতেমার তদারককারী জেলা তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি মো. আবদুস সাত্তার মাস্টার জানান, প্রস্তুতি প্রায় শেষ। বিদেশি মেহমানদের জন্য টিনশেডের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ইজতেমাকে ঘিরে মাঠের চারদিকে চারটি গভীর নলকূপ দিয়ে মুসল্লিদের অজু-গোসলের পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাবারের জন্য ট্যাংকের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আবদুস সাত্তার মাস্টার জানান, কাল বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে হেদায়েতি বয়ান শুরু হবে। শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ ইজতেমা।

নেত্রকোনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র আমির বাশার জানান, ইজতেমায় পৌরসভার পক্ষ থেকে স্যানিটেশন, লাইটিং ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং আগত মুসল্লিদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় সে জন্য মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

নেত্রকোনার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের মঙ্গলবার ইজতেমার মাঠ পরিদর্শন শেষে জানান, তিনদিনব্যাপী ইজতেমা চলাকালে র‌্যাব-পুলিশসহ সাত শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সতর্ক অবস্থানে থাকবেন। কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে কঠোর নজরদারি থাকবে।

নেত্রকোনা জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।