বেরোবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ৭

রংপুরে অবস্থিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক গেটের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী রাজ পক্ষের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী এবং কারমাইকেল কলেজ শাখা ও রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান কানন পক্ষের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এর আগে প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিতাস ও অর্থ সম্পাদক বিপ্লবসহ কমপক্ষে সাতজন আহত হন। গুরুতর আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীব মণ্ডল। তাঁকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী রাজ দাবি করেন, ‘এ হামলা পূর্বপরিকল্পিত। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ইন্ধনেই আমাদের ওপর এ হামলা করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁদের ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
অন্যদিকে, কারমাইকেল কলেজ শাখা ও রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান কানন বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জন্য এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে সাথে সাথে সেখানে উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেছি।’
এ ব্যাপারে রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী বলেন, ‘পূর্বের মতবিরোধের জের ধরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে উত্তেজনা এবং পরবর্তী সময়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।’
বেরোবি পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের রংপুর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শাহীনুর রহমান জানান, যেকোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্তমানে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।