খাল ভরাট করে হ্যাচারি তৈরি বন্ধ করল প্রশাসন

খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় পৌরসভার চৌধুরী পাড়া ও মহামুনী বিলের (পাথরের) প্রবহমান তৈচালা খাল দখলে নিয়ে মাটি ভরাট করে মৎস্য হ্যাচারি নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
কৃষক ও স্থানীয় গ্রামবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-মামুন মিয়া, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না নাসরীন ঊর্মি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল কাদের, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন চৌধুরী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর আবুল কাশেম ও শামীমসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে হ্যাচারির মালিক ভুবন মোহন ত্রিপুরার জমি বন্দোবস্তের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। মালিক দাবি করেন, কাগজপত্র খাগড়াছড়িতে আছে। পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হ্যাচারি নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি জমির মালিককে প্রকৃত কাজগপত্র দ্রুত প্রদর্শনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না নাসরীন ঊর্মি বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা এলাকাটি পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। জমির প্রকৃত কাজগপত্র দেখাতে বলা হয়েছে অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানান, জমির মালিক যেই হোক এভাবে খাল ভরাট করে মৎস্য হ্যাচারি করার নিয়ম নেই। খালটি দখলমুক্ত না হলে রামগড়ের সদর এলাকার এক তৃতীয়াংশ ফসলি জমি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বর্ষাকালে আশপাশের জমি ও বাড়ি তলিয়ে যাবে।
গ্রামবাসী জানায়, পাকিস্তান আমল থেকেই প্রাকৃতিকভাবে রামগড়ের চৌধুরীপাড়া ও মহামুনী পাথরের বুক চিরে খালটি প্রবাহিত হয়ে আসছে। রামগড় এলাকার এক-তৃতীয়াংশ ফসলি জমির পানি নিষ্কাশন ও সেচকাজে খালটি ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
তৎকালীন রামগড় ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত কাজী রহুল আমীন ও সর্বশেষ দশ বছর আগে বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য মংশে প্রু চৌধুরী অপু এলাকার কৃষকদের উন্নয়নে খালটি সংস্কারকাজ করেন। কিন্তু বর্তমানে সেটি দখল হয়ে যাচ্ছে।