নেত্রকোনায় চিকিৎসক লাঞ্ছিত, কর্মবিরতিতে দুর্ভোগ

ডাক্তার লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
আজ বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরত পালন করা হবে। এর ফলে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের লাঞ্ছিত চিকিৎসক আবু সাদাত রিজন জানান, তিনি গতকাল বুধবার জরুরি বিভাগে রাতে দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি নাক দিয়ে অনবরত রক্ত ঝরা এক রোগীর চিকিৎসা করছিলেন। একই সময় জনৈক ব্যক্তি তাঁকে এসে বলেন জরুরি বিভাগে একজন রোগী দেখতে হবে। তিনি তাকে এই রোগীটা দেখে আসছেন বলে জানান। এক মিনিট পর জরুরি বিভাগের কক্ষে প্রবেশ করতেই উক্ত ব্যক্তি ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে শার্টের কলারে ধরে চড় থাপ্পড় ও লাথি মেরে লাঞ্ছিত করেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানানো হয়।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি সিসিটিভিতে ঘটনাটি দেখেছি। এখানে ডাক্তারের কোনো গাফিলতি নেই। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তাঁকে মারধর কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা বিএমএ ও স্বাচিপের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এদিকে, ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে দূর-দূরান্ত এলাকা থেকে আগত রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন শেখ বলেন, ‘এখানে ডাক্তাররা এসেছেন জনগণকে চিকিৎসাসেবা দিতে, মার খেতে নয়। কয় দিন পর পর তাঁদের মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা বর্তমান সভ্য সমাজে কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।’
নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. এম এ গনি বলেন, ‘আমি অফিশিয়াল কাজে ঢাকায় এসেছি। বিষয়টা শুনেছি। এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমি কর্মস্থলে ফিরে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করব।’