ময়মনসিংহে সব ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক-ফার্মেসি বন্ধ

ময়মনসিংহে পপুলার ও ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছেন। প্রতিবাদে বন্ধ করা হয়েছে জেলা সদরের সব ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসি।
সাধারণত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে এসব প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়। তবে আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানই খোলেনি।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে পপুলার, ল্যাবএইডসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪। র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ও স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল বোর্ড ও প্রাইভেট ক্লিনিকের সহকারী পরিচালক ডা. মো শাহজাহানের নেতৃত্বে বিকেল ৪টা থেকে এ অভিযান শুরু করা হয়। এর প্রতিবাদে এসব প্রতিষ্ঠান রাত থেকেই বন্ধ ঘোষণা করে মালিক সমিতি।
রাত ৮টার দিকে অভিযান চলাকালেই মালিক সমিতির নেতারা ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ ও মিছিল করে শহরের সব ফার্মেসি, প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। যোগ দেয় র্যাবও। শুরু হয় পুলিশ-র্যাবের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ। এ সময় মিছিলকারীদের ওপর র্যাব-পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন অন্তত ৫০ জন।
র্যাবের ভাষ্য, ল্যাবএইড, পপুলারসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট দিয়ে হার্ট অ্যাটাকের কারণ, বিভিন্ন হরমোন নির্ণয় করছিল। এসব প্রতিষ্ঠানে রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ পরিবেশ ছিল না। তাই তাদের জরিমানা করা হয়।
অভিযানে ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ছয় লাখ এবং পপুলারকে ১০ লাখ টাকা, পিপলস মেডিসিন পয়েন্ট ও পপুলার মেডিসিন কর্নারকে ৭৫ হাজার ও ৫০ হাজার টাকা, পিওর ডায়ানস্টিক সেন্টারকে দুই লাখ, প্রান্ত ও সেফওয়েকে এক লাখ করে টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. হরিশঙ্কর দাস বলেন, ‘আমরা মিটিংয়ে বসব। এর পর কর্মসূচি ও করণীয় সম্বন্ধে সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’