দগ্ধ নারীর ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যু, স্বামীসহ গ্রেপ্তার তিন

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ রুমা আক্তার (২৫) মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাঁর স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোহনগঞ্জ পৌর এলাকার সাতুর গ্রামের লাল শাহর সঙ্গে তিন বছর আগে একই উপজেলার বিরামপুর গ্রামের রুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য রুমার ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল।
আরো জানা যায়, শ্বশুরবাড়ির লোকজন গত শনিবার রাত ৯টার দিকে রুমাকে মারধর করে একপর্যায়ে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় রুমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাঁকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাঁর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় রুমার ভাই হলুদ মিয়া বাদী হয়ে স্বামী লাল শাহসহ ছয়জনকে আসামি করে গত সোমবার রাতে মোহনগঞ্জ থানায় একটি নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ্ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী লাল শাহকে (৩২) ঢাকা থেকে, তাঁর বড় ভাই বাবুল মিয়া (৪০) ও তাঁর স্ত্রী লাভলী আক্তারকে (৩৫) বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকায় লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর বাড়িতে আনা হবে।