সিনহা হত্যা মামলায় পুলিশের তিন সাক্ষী এবার ৩ দিনের রিমান্ডে

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীর জন্য তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ওই তিন আসামিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে নেওয়া হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল ইসলাম চার দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক তামান্না ফারাহ। এরপরই ওই তিন আসামিকে র্যাব নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
তিন আসামি হলেন টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ। রিমান্ডে নেওয়ার আগে কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
সিনহা হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে গত ১১ আগস্ট ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর দুই দফায় ১১ দিন রিমান্ডে নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি মারিশবুনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। এরপর ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়।
পরে মামলার আসামি টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তাঁদের বরখাস্ত করা হয়।
সিনহা হত্যা মামলায় র্যাব সাত পুলিশ সদস্য, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করে।