রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ৩ বছর : ক্যাম্পে কোনো কর্মসূচি ছিল না

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অনুপ্রবেশের তিন বছর পূর্তি হয়েছে আজ। ২০১৭ সালের এ দিন সকাল থেকে উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করতে থাকে বাংলাদেশে। এরপর ছয় মাস ধরে চলে এই অনুপ্রবেশ। এই সময়ের মধ্যে সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারের দুই উপজেলায় আশ্রয় নেয়।
গত দুই বছর অনুপ্রবেশের বছর পূর্তিতে রোহিঙ্গারা শরণার্থী শিবিরে সভা-সমাবেশ করেছে। গত বছর এই দিনে লাখো রোহিঙ্গা সমাবেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সোরগোল তুলে। রোহিঙ্গাদের এই সমাবেশ নিয়ে কক্সবাজারের প্রশাসনসহ স্থানীয়দের মধ্যেও তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।
তবে ব্যতিক্রম ছিল এ বছর। আজ মঙ্গলবার অনুপ্রবেশের শুরুর দিনটিতে রোহিঙ্গা নেতারা কোনো কর্মসূচি দেননি। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের কোনো ধরনের সমাবেশ করতে নিরুৎসাহিত করেছে।
জানা গেছে, রোহিঙ্গারা এদিন অনেকেই ঘরে থাকার কর্মসূচি পালন করেছে। স্থানীয় প্রশাসন দিনটি ঘিরে শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এইবার ২৫ আগস্ট উপলক্ষে এখানে অনুষ্ঠান করতে গেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়বে। এখানে সাড়ে ছয় হাজার একর জমির উপর প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। জনসংখ্যার ঘনত্বের হিসাবে যদি বলেন, তাহলে এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বাস করে।‘
‘এখানে এখন গণজমায়েত করলে গোটা শিবির ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সভা-সমাবেশের ক্ষেত্রে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কারণে আমরা রোহিঙ্গাদের কোনো অনুষ্ঠান না করার বার্তা দিয়েছিলাম। তারা সেটা ইতিবাচকভাবে নিয়েছে’, যোগ করেন কমিশনার।